Summary
কবিতাটিতে কবি শান্তির অস্ত্র, যা হচ্ছে ভালোবাসা, তাদের ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন।
- এই অস্ত্রের শক্তি মানব সভ্যতাকে অক্ষুন্ন রাখে।
- যদি এই অস্ত্র উত্তোলিত হয়, তাহলে পৃথিবীর সব অস্ত্র অক্ষম হয়ে যাবে।
- ভালোবাসার অস্ত্র সংঘাত, ক্ষতি এবং নৈরাজ্যকে দূর করে।
- এটি ঘৃণা, বিদ্বেষ, অহংকার এবং জাত্যাভিমানকে পরাজিত করতে সক্ষম।
- কবি মানুষের মননে এই অস্ত্রের বিস্তার কামনা করেন।
আমাকে সেই অস্ত্র ফিরিয়ে দাও
সভ্যতার সেই প্রতিশ্রুতি
সেই অমোঘ অনন্য অস্ত্র
আমাকে ফিরিয়ে দাও ।
সেই অস্ত্র আমাকে ফিরিয়ে দাও
যে অস্ত্র উত্তোলিত হলে
পৃথিবীর যাবতীয় অস্ত্র হবে আনত
যে অস্ত্র উত্তোলিত হলে
অরণ্য হবে আরও সবুজ
নদী আরও কল্লোলিত
পাখিরা নীড়ে ঘুমোবে ।
যে অস্ত্র উত্তোলিত হলে
ফসলের মাঠে আগুন জ্বলবে না
খাঁ খাঁ করবে না গৃহস্থালি ।
সেই অস্ত্র আমাকের ফিরিয়ে দাও
যে অস্ত্র ব্যাপ্ত হলে
নক্ষত্রখচিত আকাশ থেকে আগুন ঝরবে না।
মানব বসতির বুকে
মুহূর্তের অগ্ন্যুৎপাত
লক্ষ লক্ষ মানুষকে করবে না পঙ্গু-বিকৃত
আমাদের চেতনা জুড়ে তারা করবে না আর্তনাদ
সেই অস্ত্র যে অস্ত্র উত্তোলিত হলে
বার বার বিধ্বস্ত হবে না ট্রয়নগরী ।
আমি সেই অবিনাশী অস্ত্রের প্রত্যাশী
যে ঘৃণা বিদ্বেষ অহংকার
এবং জাত্যভিমানকে করে বার বার পরাজিত ।
যে অস্ত্র আধিপত্যের লোভকে করে নিশ্চিহ্ন
যে অস্ত্র মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে না
করে সমাবিষ্ট
সেই অমোঘ অস্ত্র-ভালোবাসা
পৃথিবীতে ব্যাপ্ত করো ।